মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মাথা গরম হওয়ার প্রধান কারণ হলো শারীরিক বা মানসিক চাপ। রাগান্বিত হলে বা উত্তেজিত হলেও মাথা গরম হয়ে থাকে। দৈহিক জীবনে বিভিন্ন কারণে আমাদের মাথা গরম হয়ে থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। মাথা গরম হওয়ার কারণে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি এবং বিভিন্ন ভুল  করে ফেলি,  যেমন:  একজনের রাগ অন্যজনের উপর প্রভাব ফেলে।
 
একটা প্রবাদ আছে যে,
যখন আমরা রেগে যাই তখন আমরা এমন কিছু কথা বলে ফেলি যেটা একদম কাঠে পোতা পেরেকের মত হয়। পরবর্তীতে যদি ওই পেরেকটা বেরওকরে নেওয়া হয়, তাহলেও কিন্তু তার গর্ত বা ক্ষত সবসময় এর জন্য থেকে যায়।

 
মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার:

কারণ:

  • মানসিক চাপ: দুশ্চিন্তা বা অতিরিক্ত চাপ মাথাকে গরম করে।
  • অপর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মাথা গরম হয়।
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার: অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অনেক সময় মাথা গরম হয়।
  • জলশূন্যতা: পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়,  ফলে মাথা গরম হতে পারে।

মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

প্রতিকার:

  • দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ কমানো
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা

মাথা গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়

আমাদের জীবনে চলার পথে নানা কারণে হুটহাট করে মাথা গরম হয়ে যায়। যেমন জ্যামে বেঁধে  অনেক সময় অপেক্ষা করতে করতে মেজাজ গরম হয়ে যায়। এ ধরনের রাগ মাঝে মাঝে কন্ট্রোল করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় মাথা ঠান্ডা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মাথা ঠান্ডা করার কিছু উপায় রয়েছে।

মাথা ঠান্ডা করে প্রধান এবং একমাত্র উপায় হল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা তারপরে ওই বিষয় নিয়ে চিন্তা করা। যখন হুটহাট করে রাগ হয়ে যাবে তখন আপনারা এক গ্লাস পানি পান করে দেখবেন রাগটা একটু কমেছে। এছাড়াও যদি পারেন ৫-১০ মিনিটের মধ্যে গোসল করবেন দেখবেন রাগটা অনেকটাই কমে গেছে, রাগটা কমার ফলে মাথা অটোমেটিকলি ঠান্ডা হয়ে যাবে।

মাথা ঠান্ডা করার বৈজ্ঞানিক উপায়

মাথা গরম হওয়ার কিছু বৈজ্ঞানিক প্রতিকারও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক উপায় প্রয়োগ করার ফলে সহজেই গরম মাথা ঠান্ডা এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা যায়। খুব সহজ একটা উপায় কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা প্রথমেই ২০ থেকে ১ পর্যন্ত মনে মনে উল্টো ভাবে কাউন্ট করতে হবে। যেমন ২০, ১৯, ১৮, ১৭ এভাবে কাউন্ট করতে করতে পর্যন্ত আসতে হবে। এভাবে এক থেকে দুইবার করলেই মাথা ঠান্ডা হয়ে যাবে।

মাথা ঠান্ডা করার বৈজ্ঞানিক উপায়

মাথা গরম প্রতিরোধে শারীরিক ব্যাম

মাথা গরম প্রতিরোধে শারীরিক ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাথা গরম হলে শারীরিক ব্যায়াম প্রধান প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। শারীরিক ব্যায়াম ছাড়া হাটাহাটি করা, দৌড়াদৌড়ি করলেও মাথা ঠান্ডা হয়। চাপ কমানোর জন্য অনেকের ভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করলেও শারীরিক ব্যায়াম ও বিভিন্ন আসন  অনুশীলন করার মাধ্যমে মাথাকে ঠান্ডা রাখা যায়। এতে শরীরের কোন বিয়োগ প্রভাব পড়ে না।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলে আমরা মাথা গরম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি  আপনাদের জীবনে চলার পথে বিভিন্ন উপকারে আসবে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার সামান্য উপকৃত হলেও আমরা স্বার্থক। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আর্টিকেলটি তুলে ধরেছি ভালো লাগলো না খারাপ লাগলো সেটা আপনারাই বিচার করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন কথা হচ্ছে অন্য কোন আর্টিকেল......

অতিরিক্ত পোস্ট


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url